স্বদেশ ডেস্ক:
বিপিএলের ফিরতি ঢাকা পর্বের প্রথম ম্যাচে খুলনার কাছে পাত্তাই পেল না সিলেট সানরাইজার্স। হারের চক্করে থাকা সিলেট এবার স্রেফ উড়ে গেল মুশফিকের খুলনার কাছে।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে বিপিএলের ম্যাচে সিলেটকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪২ রান করে সিলেট। জবাবে খুলনা জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ৩৪ বল হাতে রেখে, ১৪৪/১। ৭১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন খুলনার ক্যারিবীয় ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার।
ছয় ম্যাচে খুলনার এটি তৃতীয় জয়, হারও তিনটি। এই জয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে খুলনা। অন্যদিকে সিলেটের পাঁচ ম্যাচ এটি চতুর্থ হার। অবস্থান তলানিতে।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা দুরন্ত খুলনার। দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকার রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন সিলেটের বোলারদের উপর। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৯৯ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙেন সিলেটের নাজমুল ইসলাম। ৩১ বলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করা সৌম্য নাজমুলের বলে ক্যাচ দেন জুবায়েরের হাতে।
তবে জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু নির্বিঘ্নে সারেন ফ্লেচার ও পেরেরা। ১৪.২ ওভারে লক্ষ্য স্পর্শ করে খুলনা। ৪৭ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ফ্লেচার। তার ইনিংসে ছিল সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কা। ৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২২ রানের খণ্ড ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
খালেদ আহমেদের বলে প্রথম বিদায় নেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ১০ বলে মাত্র ৪ রান করে নাবিল সামাদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্সকে সাজঘরে ফেরত পাঠান খুলনার পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৯ বলে সিমন্স করেন ৬ রান। ভালো করতে পারেননি কলিন ইনগ্রামও। ৩ বলে ২ রান করে তিনি নাবিল সামাদের বলে এলবিডব্লিউ।
পঞ্চম উইকেটে মিথুন ও মোসাদ্দেক দলের হাল ধরেন। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ১০২ রান পর্যন্ত। এই জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ। ৩০ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৪ রান করা মোসাদ্দেককে জাকের আলীর ক্যাচ বানান তিনি। বাকি পথটা মিথুন ও মুক্তার আলীই পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে বিদায় নেন মিথুন। সৌম্য সরকারের বলে বিদায় নেয়ার আগে মিথুন খেলেন ৫১ বলে ৭২ রানের দারুণ ইনিংস। তার ইনিংস সাজানো ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায়।
মুক্তার আলী ৫ ও নাদিফ চৌধুরী ৬ রানে থাকেন অপরাজিত। বল হাতে খুলনার হয়ে খালেদ আহমেদ দুটি, নাবিল সামাদ, কামরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার নেন একটি করে উইকেট।